জীবিকাসত্তাভিত্তিক কৃষি
(Subsistence Agriculture)
সংজ্ঞা (Definition) : প্রধানত চিরাচরিত কৃষি পদ্ধতিতে জীবনধারণের তাগিদে কৃষকেরা যখন ফসল উৎপাদন করে, তখন সেই কৃষি পদ্ধতিকে জীবিকাসত্তাভিত্তিক যা জীবনধারণভিত্তিক কৃষি বলে।
বৈশিষ্ট্য (Characteristics) :
(i) কেবলমাত্র পারিবারিক চাহিদা পূরণের উদ্দেশ্যে যে কৃষিকার্য করা হয় তাকে জীবকিািসত্তাভিত্তিক কৃষি বলে।
(ii) জীবিকাসত্তাভিত্তিক কৃষি উৎপাদক অঞ্চলের জনঘনত্ব খুব বেশি হয়ে থাকে।
(iii) এই প্রকার কৃষি ব্যবস্থায় প্রাচীন পদ্ধতিতে ফসল চাষ করা হয়।
(iv) এটি শ্রম নির্ভর কৃষি ব্যবস্থা।
(v) কৃষি জোতগুলি ছোটো এবং বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে অবস্থান করে।
(vi) এই কৃষি ব্যবস্থায় যন্ত্রপাতির ব্যবহার কম করা হয়।
(vii) কৃষিজ পণ্যের উৎপাদন ব্যয় বেশি।
(viii) এই প্রকার কৃষি ব্যবস্থায় মূলধন বিনিয়োগের পরিমাণ খুবই কম।
(ix) মাথাপিছু জমির পরিমাণ খুবই কম।
(x) সার, বীজ, কীটনাশক প্রভৃতির ব্যবহার অত্যন্ত কম।
বণ্টন (Distribution) : এশিয়ার অন্তর্গত ভারত, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, মায়ানমার, চিন, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম প্রভৃতি দেশে এবং আফ্রিকার সুদান, কঙ্গো, মিশর প্রভৃতি দেশে, বিশেষত মৌসুমি, ক্রান্তীয়, উপক্রান্তীয় এবং নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলের অন্তর্গত দেশগুলিতে জীবিকাসত্তাভিত্তিক কৃষিকাজের প্রাধান্য লক্ষ করা যায়।
0 মন্তব্যসমূহ