Header Ads Widget

Responsive Advertisement

মৎস্য শিকারের পদ্ধতি (Methods of Fishing)




মৎসশিকার

              গ্রিক শব্দ Pisces-এর অর্থ Fish বা মাছ এবং Culture অর্থ চাষ । যে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বিধিসম্মতভাবে মৎস্য আহরণ, রক্ষণ, মৎস্য প্রজনন ও পালন করা হয়, তাকে মৎস্য চাষ বলে। যে সব স্থানে মাছ চাষ করা হয়, তাকেই বলে মৎস্য ক্ষেত্র বা ফিশারিজ। মাছের বিচরণের প্রকৃতি অনুযায়ী সামুদ্রিক ও অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্র থেকে নিম্নলিখিত পদ্ধতির সাহায্যে মাছ শিকার করা হয়—


মৎস্য শিকারের পদ্ধতি (Methods of Fishing)

1. টানা জাল পদ্ধতি (Trawl Net Method): ফানেলের মতো বড়ো থলি বা জাল জাহাজ থেকে সমুদ্রের গভীরে নামিয়ে দিয়ে তারপর তা টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। কড় হ্যালিবাট, হাঙর প্রভৃতি বড়ো ডেমার্সাল মাছ শিকারের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।  

2. ভাসা জাল পদ্ধতি (Drift Net Method) : ট্রলার বা জাহাজের সামনে জলের মধ্যে পর্দার মতো জাল ঝুলিয়ে দেওয়া হয় এবং সমুদ্রের জলের উপরিভাগের মাছ বা পিলেজিক মাছ যেমন— হেরিং, সার্ডিন, ম্যাকারেল প্রভৃতি শিকার করা হয়। 

3. বেড়া জাল পদ্ধতি (Seine Net Method) : বেড়া জাল পদ্ধতিতে দুটি ট্রলার বা জাহাজের সাহায্যে জালের দুটি দিক টানার ফলে জালটি বড়ো বেড়ার মতো আকার গ্রহণ করে এবং অসংখ্য পিলেজিক ও ডেমার্সাল মাছ শিকার করা হয়। এই পদ্ধতির সাহায্যে ম্যাকারেল, সার্ডিন, টুনা, হেরিং প্রভৃতি মাছ শিকার করা হয়। 

4. বড়শি পদ্ধতি (Long Lining Method) : লম্বা ও মোটা দড়ি বা তারে কতগুলি বড়শি মাছের খাবারসহ জলে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। মাছ ওই খাবার খেতে এসে বড়শিতে আটকে পড়ে। হ্যালিবাট, পাইক, টুনা প্রভৃতি মাছ এই পদ্ধতিতে শিকার করা হয়। 

5. কালার ইকো সাউন্ডার (Colour Echo Sounder): এই আধুনিক যন্ত্রটিতে শব্দ প্রেরক যন্ত্রের সাহায্যে সমুদ্রের তলদেশে প্রেরণ করা শব্দ প্রতিফলিত হয় এবং শব্দ গ্রাহক যন্ত্রে তা গৃহীত হয়। এক্ষেত্রে যদি মাছের ঝাঁক শব্দ তরঙ্গ প্রবাহের পথে থাকে তবে তা কালো ছায়ার মতো জাহাজের যন্ত্রের মনিটরের রঙিন পর্দায় দেখা যায়। 

6. র‍্যাডার (Radar) : র‍্যাডার-এর সাহায্যে সমুদ্রের উপরিপৃষ্ঠ থেকে 35-45 কিমি দূরত্বের মধ্যে মাছের ঝাঁক থাকলে তা র‍্যাডারের পর্দায় শব্দসহ চিহ্ন রূপে দেখতে পাওয়া যায় । 

7. কালার নেট রেকর্ডার (Colour Net Recorder): মাছের আকার ও পরিমাণ বোঝার জন্য এই আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে ছোটো ইকো সাউন্ডার মাছ ধরার জালের সঙ্গে যুক্ত থাকে এবং এর মাধ্যমে মাছের গতিবিধি ট্রলারে লাগানো পর্দায় দেখতে পাওয়া যায়। 

8. স্যাটেলাইট পদ্ধতি (Satellite Method) : অত্যাধুনিক ট্রলার ও জাহাজে যুক্ত স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত ছবিতে সমুদ্রের তরঙ্গের প্রকৃতি, জলযানগুলির অবস্থান ও মাছের অবস্থান জানতে পারা যায়। 

9. জলনিকাশি পদ্ধতি (Irrigation Method): অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে অর্থাৎ খাল, বিল, পুকুর প্রভৃতিতে জলসেচের মাধ্যমে মাছ সংগ্রহ করা হয়। 

10. বাঁধ পদ্ধতি (Dam Method) : অভ্যন্তরীণ মৎস্য শিকার ক্ষেত্রে প্রবহমান জলকে বাঁধের সাহায্যে আটকে অজস্র মাছ আহরণ করা হয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ