Header Ads Widget

Responsive Advertisement

কার্স্ট অঞ্চল (Karst Topography)

                        কার্স্ট অঞ্চল


             কাস্ট [Karst] একটি জার্মান শব্দ। 'Karst' কথাটি ইন্দো-ইওরোপীয় শব্দ Kar' থেকে এসেছে, যার অর্থ 'শিলা' [Rock]] ‘Karst’ কথাটি ইতালিতে 'Carso' (কারসো) এবং স্লোভানিয়ায় ‘Kras' (ক্লাস) নামে পরিচিত। স্লোভানিয়াতে 'Kras' কথার Bare Stoney Ground' বা উন্মুক্ত প্রস্তরক্ষেত্র।

      যেসব ভূপৃষ্ঠীয় ভূখণ্ড জলের উচ্চ মাত্রায় দ্রবণ ক্রিয়ার দ্বারা ভূপৃষ্ঠ ও উপপৃষ্ঠীয় শিলা অতিমাত্রায় প্রবীভূত হয়ে শিলার ভৌত ৩৪ রাসায়নিক ধর্মের পরিবর্তন ঘটায় এবং সেই সঙ্গে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ভূমিরূপ ও জলনির্গমন প্রণালী গঠন করে, সেই সব ভূপৃষ্ঠীয় ভুখন্ডে গঠিত ভুমিরুপগুলিকে কার্স্ট ভূমিরূপ বলে।


কাস্ট ভূমিরূপ গড়ে ওঠার আদর্শ অবস্থা বা প্রধান শর্ত : কাস্ট ভূমিরূপ গঠনের প্রধান শর্ত বা অনুকূল পরিবেশগুলি হল- 

 a) CaCO এর উপস্থিতি: ভূবিজ্ঞানী ডিকেনের (1935) মতে, কার্স্ট ভূমিরূপ গঠনে প্রধান ও প্রথম শর্ত CaCO এর উপস্থিতি।

b)দ্রাব্য শিলাস্তর : চুনাপাথর দ্বারা গঠিত অঞ্চলে সচ্ছিদ্রতা ও প্রবেশ্যতা বেশি বলে এটি ভূমিরূপ গঠনের জন্য আদর্শ। উদাহরণ যুগোশ্লাভিয়ার কার্স্ট অঞ্চল শুধুমাত্র চুনাপাথর দ্বারা গঠিত বলে আদর্শ ভূমিরূপ গড়ে উঠেছে।

c)শিলায় প্রকৃতি : শিলাস্তরটি বিশুদ্ধ চুনাপাথর গঠিত হবে, যাতে ক্যালসিয়াম কার্বনেটের পরিমাণ থাকবে 40%-এর বেশি।  

d)বৃষ্টিপাত : মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত 50 cm বা তার বেশি হলে কার্স্টভূমিরূপ গড়ে উঠে।  

e)শিলার গভীরতা : কার্স্ট ভূমিরূপের পূর্ণ বিকাশের জন্য বিশুদ্ধ চুনাপাথর ঘন দারণ, সমৃদ্ধ ও যথেষ্ট গভীরতা সম্পন্ন হওয়া প্রয়োজন। উদাহরণ—যুগোশ্লাভিয়ার কার্স্ট অঞ্চল 4000 মিটার পুরু।

f)নদী উপত্যকার উপস্থিতি : ভূমিরূপবিজ্ঞানী ধর্নবারীর মতে, অঞ্চলটিতে উপত্যকার প্রাধান্য থাকা প্রয়োজন। 

g)ভৌমজলের প্রবহমানতা : কার্স্ট ভূমিরূপের বিকাশের জন্য ভৌমজলের প্রবহমানতা থাকা প্রয়োজন। চুনাপাথর গঠিত অঞ্চলে ভৌমজলের প্রবাহ ক্ষয়কার্যের ফলে কার্স্ট ভূমিরূপ গড়ে তোলে।

h)অঞ্চলটির আয়তন : ভূপৃষ্ঠের তলদেশে চুনাপাথর সমৃদ্ধ অঞ্চলের আয়তন বিশাল হওয়া প্রয়োজন।

I)অন্যান্য অবস্থা : দ্রাব্য শিলাস্তর যুক্ত অঞ্চলটি ভাজপ্রাপ্ত, চ্যুতিযুক্ত ও ভঙ্গুর হওয়া প্রয়োজন।


কার্স্ট অঞ্চলে গঠিত ভূমিরূপ (Karst Landforms):

 চুনাপাথর দ্বারা গঠিত কার্বনিক অ্যাসিড মিশ্রিত জল রাসায়নিক বিভিন্ন ধরনের ভূমিরূপ গঠন করে থাকে। চুনাপাথর অঞ্চলে ভৌমজলের কার্যের ফলে প্রধানত দু'ধরনের ভূমিরূপ সৃষ্টি হয় ।1)ক্ষয়জাত ভূমিরূপ ও 2)সঞ্চয়জাত ভূমিরূপ।


কার্স্ট অঞ্চলে গঠিত ক্ষয়জাত ভূমিরূপসমূহ :


1)টেরা রোসা [Terra Rossa] : 

সংজ্ঞা : 'terra’ শব্দের অর্থ ‘মৃত্তিকা’ 'terra rowsa' কথার প্রকৃত অর্থ এক ধরনের লাল কাদামাটি। টেরা রোসা নামকরণ করেন ডব্রু এল কুবিয়ো (W. L. Kubjena)। চুনাপাথরের স্তরের মধ্য দিয়ে কার্বনিক অ্যাসিড নিশ্রিত জল প্রবাহিত হলে বিশুদ্ধ চুনাপাথর দ্রবীভূত হয়ে অপসারিত হয়, কিন্তু চুনাপাথরে যে সুক্ষ্ণ লাল লৌহযৌগ থাকে তা অদ্রাব্য বলে ভূপৃষ্ঠের উপরে পড়ে থাকে। ফলে ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগে কর্দমাক্ত এক ধরনের লাল মাটির সৃষ্টি হয়। একে টেরা রোসা বলে।

উদাহরণ : ব্রাজিল উচ্চভূমিতে টেরারোসা মৃত্তিকা দেখা যায়।

 

2)ল্যাপিস [Lapies] বা কারেন [Karren] : 

সংজ্ঞা : খাড়া ঢালু চুনাপাথরের স্তরে দ্রবণ ক্রিয়ায় অনেক সময় খাঁজের সৃষ্টি হয়। এর ফলে দ্রবণ খাত সরলরেখার ন্যায় সমান্তরালে একাধিক খাঁজে বিভক্ত হয়। এইসব খাঁজগুলির অত্যন্ত তীক্ষ্ণ ও তাদের মধ্যবর্তী অংশে উঁচুভূমির সৃষ্টি হয়। এরূপ খাঁজযুক্ত দ্রবণ খাতবিশিষ্ট ভূমিরূপকে ফরাসি ভাষায় ল্যাপিস বলে। জার্মান ভাষার একে কারেন বলে।

উদাহরণ : ভারতের দেরাদুন ও পাঁচমারি।


3)ক্লিন্ট ও গ্রাইক [Clint and Grike]

সংজ্ঞা : চুনাপাথরযুক্ত অঞ্চলে কার্বনিক অ্যাসিড মিশ্রিত জলের ক্ষয়কার্যের প্রধান ধাপ হল ক্লিন্ট ও গ্রাইক, বৃষ্টির জলে চুনাপাথর দ্রবীভূত হয়ে ভূত্বকে কতগুলি গর্তের সৃষ্টি করে। এই গর্তগুলি ক্রমশ বিস্তৃত ও প্রসারিত হয়ে পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে খাড়াভাবে দাঁড়িয়ে থাকে। এইগুলিকে দেখতে স্তম্ভ বা চাঁই-এর মতো হয় একে ক্লিন্ট বলে। এই অঞ্চলে দ্রবন প্রক্রিয়ার ফলে যেসব দীর্ঘ গর্ত ও খাঁজের সৃষ্টি হয় তাকে গ্রাইক বলে।

উদাহরণ : ছত্তিশগড়ের দ্রুগ জেলার 2 কিমি উত্তরে নন্দিনী খনি অঞ্চলে ক্লিন্ট ও গ্রাইক দেখা যায়।


4)সিঙ্কহোল [Sinkhole] ও সোয়ালো হোল [Swallow hole]:

সংজ্ঞা : চুনাপাথর অঞ্চলে দ্রবণ কাজের ফলে ভূপৃষ্ঠে যে ফাদল আকৃতির ছোটো ছোটো গর্তের সৃষ্টি হয় তাদের আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের সিঙ্কহোল। এবং এর নীচের অংশের গহ্বর মুখকে সোয়ালো হোল বলে।

উদাহরণ : গেপিং ঝিল সোয়ালো হোল এর জন্য বিখ্যাত।


5)এভেন [Aven] ও পোনর [Ponor]

সংজ্ঞা : কোনো ফানেল বা সুড়ঙ্গ দ্বারা সোয়ালো হোল যুক্ত হলে সেই সুড়ঙ্গ পথটিকে পোনর বলে। বৃষ্টির জল চুনাপাথরের ফাটল দিয়ে নিচে প্রবেশ করে ও সেখানে গহ্বরের সৃষ্টি করে। এই গহ্বরকে এভেন এবং খাড়াভাবে গঠিত সুড়ঙ্গপথকে পোনর বলে।


6)ডোলাইন [Soline]:

সংজ্ঞা : সার্বিয়ান শব্দ ‘Dolina’ থেকে ‘ডোলাইন’ শব্দের উৎপত্তি, যার অর্থ 'ভূ-দৃশ্যের মধ্যে এক অবনমন' । চুনাপাথর অঞ্চলে কার্বনিক অ্যাসিডের দ্রবণ কার্যের ফলে সিঙ্কহোলগুলির আয়তন বেড়ে গিয়ে যখন একাধিক সিঙ্কহোল পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কোনো বড় গর্তের সৃষ্টি করে তখন তাকে ডোলাইন বলে।

উদাহরণ : যুগোস্লাভিয়ার অ্যাড্রিয়াটিক উপসাগরের উপকূলে প্রচুর ডোলাইন দেখা যায়।


7)দ্রবণ প্যান [Solution Pan] :

সংজ্ঞা : দ্রবণ খাতের গর্তগুলি বা ডোলাইনগুলি যদি আকারে ও গভীরতায় বেশ বড়ো হয় তবে তাদের দ্রবণ প্যান বলে।


8)কার্স্ট হ্রদ [Karst Lake]:

সংজ্ঞা : চুনাপাথর যুক্ত অঞ্চলে অনেক সময় চারদিক থেকে বয়ে আসা জলের অন্তঃধৌত গাদা ডোলাইনে সঞ্চিত হয়ে তলদেশের ছিদ্রগুলিকে বন্ধ করে দেয়। ফলে ডোলাইনের মধ্য দিয়ে জল প্রবাহিত হতে পারে না এবং ভেতরের জল বেরিয়ে যেতে না পেরে হ্রদ পরিণত হয়। এভাবে সৃষ্ট হ্রদকে কার্স্ট হ্রদ বলে।

উদাহরণ : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফ্লোরিডার কার্স্ট অঞ্চলে  কার্স্ট হ্রদ দেখা যায়।


9)উভালা [Uvala] ও পোলজি [Polje] :

সংজ্ঞা : অনেকগুলি সিঙ্কহোল বা ডোলাইন পরস্পর মিলিত হয়ে একটি বড়ো আকারের গর্তের সৃষ্টি করলে তাকে উভালা বলে।

                  চুনাপাথর যুক্ত অঞ্চলে উভালা অপেক্ষা বৃহদাকার উপবৃত্তাকার অবনত ভূভাগকে পোলজি বলে। 

 উদাহরণ: যুগোস্লাভিয়ার লিভানস্কো পোলজি পৃথিবীর দীর্ঘতম পোলজি।


10)কার্স্ট টাওয়ার [Karst Tower] ও হামস [Hums]: 

 সংজ্ঞা : ক্রান্তীয় অঞ্চলে অবশিষ্ট উচ্চভূমিকে কার্স্ট টাওয়ার’বলে। কার্স্ট টাওয়ারই বিভিন্ন অংশ হামস্ মোগোটোস, হে স্ট্যাক পাহাড় নামে পরিচিত। পোলজির বৃহদাকার অবনমিত অংশে বা গর্তের মেঝেতে চুনাপাথর স্তরের কিছু অংশ ক্ষয় প্রতিরোধ করে ছোটো টিলা বা ঢিবির আকারে অবস্থান করে যুগোস্লাভিয়ায় এদেরকে হামস বলে।


11)শুষ্ক উপত্যকা [Dry Valley] ও অন্ধ উপত্যকা [Blind Valley] :

সংজ্ঞা : কার্স্ট অঞ্চলে অসংখ্য সিঙ্ক হোলের ওপর দিয়ে নদী প্রবাহিত হওয়ার সময় মাঝে মাঝে নদীপ্রবাহকে ভূগর্ভে অন্তর্হিত হতে দেখা যায়। ফলে নদী উপত্যকার ঐ অংশটি সম্পূর্ণরূপে জলশূন্য হয়ে পড়ে। এই অংশটুকুকে শুষ্ক উপত্যকা বলা হয়।

                কার্স্ট ‌‌অঞ্চলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত নদী যখন কোনো সিঙ্কহোলে প্রবেশ করে, তখন নদী উপত্যাকার বিস্তার সিঙ্কহোল পর্যন্ত হয় এবং এরপর নদী উপত্যকা হঠাৎ শেষ হয়ে যায় তার আগের নদীর জলপূর্ণ অংশটিকে বলা হয় অন্ধ উপত্যকা।


12)প্রাকৃতিক সুড়ঙ্গ ও প্রাকৃতিক সেতু [Natural Tunnel and Natural Bridge] :

সংজ্ঞা : চুনাপাথরযুক্ত অঞ্চলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত নদী সিঙ্কহোলের মধ্যে দিয়ে ভূগর্ভে প্রশে করে। ফলে দ্রবণ ক্ষয়ের মাধ্যমে ভূগর্ভে সুড়ঙ্গের সৃষ্টি হয়। এই সুড়ঙ্গকে প্রাকৃতিক সুড়ঙ্গ বলে। ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের মারাদেও পর্বতে প্রাকৃতিক সুড়ঙ্গ রয়েছে।

             অনেক সময় এই প্রাকৃতিক সুড়ঙ্গের ছাদ দ্রবণ কার্যের মাধ্যমে ক্ষয়প্রাপ্ত হতে থাকলে অথবা ধসে পড়তে থাকলে সুড়ঙ্গটির দৈর্ঘ্য ক্রমশ কমতে থাকে। এভাবে কমতে কমতে ছাদটি এতই সংকীর্ণ হয়ে পড়ে যে তাকে ‘সেতুর মতো’ দেখায়। একেই বলা হয় ‘প্রাকৃতিক সেতু’। যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া রাজ্যের Natural Bridge-টি পৃথিবীর বিখ্যাত কার্স্ট সেতুর মধ্যে অন্যতম।


13)কার্স্ট জানালা [Karst Window] :

সংজ্ঞা : একটি ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গের ছাদের অংশবিশেষ ভেঙে পড়বার কারণে ভূপৃষ্ঠে যে বিশাল গর্তের উদ্ভব হয়ে থাকে, তাকে কার্স্ট জানালা বলে।


14)গুহা [Cave] :  

সংজ্ঞা : ভূ-অভ্যন্তরের অল্প বা সামান্য গভীরতায় সৃষ্ট ছোটো আকারের স্বাভাবিক শূন্যস্থানকে গুহা বলে। চুনাপাথর অঞ্চলে দ্রবীভূত শিলীস্তরের ফাটল, সন্ধিস্থল বা অনুস্রাবণ বিন্দুতে ক্রমাগত অভ্যন্তরে যে ফাঁকা বা শূন্যস্থানের সৃষ্টি হয় এবং অভ্যন্তরস্থ সেই শূন্যস্থান গুহা নামে পরিচিত।

উদাহরণ/নিদর্শন : ভারতের মধ্যপ্রদেশের পাঁচমারি, অন্ধ্রপ্রদেশের বরাগুহা, উত্তরাঞ্চলের দেরাদুন, মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে চুনাপাথর গৃহা দেখা যায়।


কাস্ট অঞ্চলে গঠিত সঞ্চয়জাত ভূমিরূপসমূহ‌ :


1)কেভ ট্যাভারটিন [Cave Travertine]: 

সংজ্ঞা : চুনাপাথরের গুহার ভেতরে গড়ে ওঠা যাবতীয় ভূমিরূপকে একত্রে ড্রিপস্টোন নামে অভিহিত করেন। অনেকে আবার এই সব ভূমিরূপকে একত্রে কেভ ট্যাভারটিন নামেও অভিহিত করে।


2)স্ট্যালাকটাইট [Stalactite] :

সংজ্ঞা : কার্বনিক অ্যাসিড মিশ্রিত জলের সংস্পর্শে চুনাপাথর গলে গিয়েঁ চুনের জলীয় দ্রবণে পরিণত হয়। এরপর ওই জলীয় দ্রবণ গুহার ছাদ ও দেওয়ালের অসংখ্য ফাটল ও দারনের ভেতর দিয়ে চুঁইয়ে অতি ধীরে ফোঁটা ফোঁটা আকারে মেঝেতে পড়তে থাকে। অনেক সময় গুহার ছাদ দিয়ে চুঁয়ে আসা ক্যালশিয়াম কার্বনেটের অংশ ছাদেই শুকিয়ে গিয়ে ছাদের জমাট হয়ে লেগে থাকে। বার বার এভাবে ছাদে জমাট হতে থাকে বলে গুহার ছাদ থেকে চুনের স্তম্ভ নীচের দিকে দীর্ঘতর হতে থাকে। গুহার ছাদে এরূপ ঝুলন্ত দণ্ডের মতো ঝুড়িগুলিকে স্ট্যালাকটাইট বলে।


3)স্ট্যালাগমাইট [Stalagmite]:

সংজ্ঞা : গুহার ছাদ থেকে ক্যালসিয়াম কার্বনেট এর দ্রবণ ফোটার আকারে গুহার মেঝেতে পতিত হয়। এর পর জল বাষ্পীভূত হয়ে গেলে ক্যালশিয়াম কার্বনেট সঞ্চিত হতে থাকে। এভাবে সঞ্চিত হতেে হতে গুহার মেঝে থেকে স্তম্ভের ন্যায় ঊর্ধ্বমুখী ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়। এভাবে গুহার মেঝেতে সৃষ্ট ক্যালশিয়াম কার্বনেটের স্তম্ভগুলিকে বলা হয় স্ট্যালাগমাইট।


4)গুহা স্তম্ভ [Cavepillar] : 

সংজ্ঞা : বেশির ভাগ ক্ষেত্রে স্ট্যালাকটাইটের ঠিক নীচেই স্ট্যালাগমাইট গঠিত হয়। স্ট্যালাকটাইট নীচের দিকে বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং স্ট্যালাগমাইট উপরের দিকে বৃদ্ধি পেয়ে এক সময় উভয় ভূমিরূপ যুক্ত হয়ে যায়। তখন একে স্তম্ভ বলা হয়। যেমন— মেঘালয় মালভূমির চেরাপুঞ্জি, উত্তরাঞ্চল-এর তপকেশ্বরে এই প্রকার ভূমিরূপ দেখা যায়।


5)ড্রেপ [Drape or Curtain] : একাধিক সন্নিহিত অংশে স্ট্যালাকটাইটের একত্রে পাশাপাশি সমাবেশকে ড্রেপ বা কার্টেন বলে।


6)হেলিকটাইট [Helictite]: গুহার ছাদের ঝুলন্ত স্তম্ভগুলি লম্বভাবে নীচে না প্রসারিত হয়ে পাশে, হেলানোভাবে, বক্রভাবে, এলোমেলো ভাবে হলে তাদের হেলিকটাইট বলে।


7)হেলিগমাইট [Heligmite] : গুহার মেঝে থেকে বিভিন্ন দিকে হেলিকটাইট ধরনের সঞ্চয়কে হেলিগমাইট বলে।


∆কিভাবে নোটগুলো খুঁজবে (Find Notes)


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ