Header Ads Widget

Responsive Advertisement

খাদ্যশৃঙ্খল (Food Chain) | খাদ্যশৃঙ্খলের প্রকারভেদ (Types of Food Chain)



খাদ্যশৃঙ্খল


খাদ্যশৃঙ্খল (Food Chain) : কোনো বাস্তুতন্ত্রে খাদ্য-খাদকের সম্পর্কের ভিত্তিতে উৎপাদক স্তর থেকে খাদক স্তরের সর্বোচ্চ সীমা পর্যন্ত ধাপে ধাপে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের জীবগোষ্ঠীর মধ্যে খাদ্যের মাধ্যমে শক্তির শৃঙ্খলিত ধারাবাহিক প্রবাহকেই খাদ্যশৃঙ্খল বলা হয়।

     বিজ্ঞানী ওডাম [1966]-এর মতে, "খাদ্য-খাদকের সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে যে নির্দিষ্ট প্রণালীতে খাদ্যশক্তি উৎপাদক থেকে ক্রমপর্যায়ে আরও উন্নত জীবগোষ্ঠীর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়, সেই শক্তিপ্রবাহের ক্রমিক পর্যায়কে খাদ্যশৃঙ্খল বলে।"

বৈশিষ্ট্য : খাদ্যশৃঙ্খলের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হল - 

• খাদ্যশৃঙ্খলে সবুজ উদ্ভিদ উৎপাদক রূপে গণ্য হয়। 

• খাদ্যশৃঙ্খলে সর্বনিম্ন স্তর থেকে সর্বোচ্চ স্তরের দিকে জীবের সংখ্যা হ্রাস পায়।

• খাদ্যশৃঙ্খলের বাহ্যিক গঠন তুলনামূলক জটিল প্রকৃতির। 

• বাদ্যশৃঙ্খলে শক্তিপ্রবাহ একমুখী।

• খাদ্যশৃঙ্খলে শক্তি লিন্ডেম্যান-এর 10% সূত্র মেনে পরিবাহিত হয়।


খাদ্যশৃঙ্খলের প্রকারভেদ (Types of Food Chain)

খাদ্য খাদকের সম্পর্ক ও খাদ্যগ্রহণের প্রকৃতি অনুসারে খাদ্যশৃঙ্খলকে বিভিন্ন শ্রেণিতে বিভক্ত করা যায়।

[A]খাদ্য খাদক সম্পর্কের ভিত্তিতে : 

1)শিকারী খাদ্যশৃঙ্খল [Predator Food Chain] : যে খাদ্যশৃঙ্খলে সাধারণত তৃণভোজী প্রাণিদের প্রাথমিক খাদকন্তুর থেকে শুরু হয় এবং খাদ্য খাদক সম্পর্কের ভিত্তিতে বৃহত্তর মাংশাসী প্রাণির স্তরে শেষ হয়, তাকেই শিকারী খাদ্যশৃঙ্খল বলা হয়। যেমন - ঘাসফড়িং→ব্যাং→ সাপ → ময়ূর।

2)পরজীবী খাদ্যশৃঙ্খল [Parasitic Food Chain] : বাস্তুতন্ত্রের যে খাদ্যশৃঙ্খলে খাদ্য খাদক সম্পর্ক বৃহৎপ্রাণি বা Host থেকে শুরু হয় এবং পরজীবী ক্ষুদ্র প্রাণিতে শেষ হয়, তাকে পরজীবী খাদ্যশৃঙ্খল বলা হয়। যেমন— মানুষ → কৃমি→বিয়োজক।

3)মৃতজীবী খাদ্যশৃঙ্খল [Saprophytic Food Chain] : বাস্তুতন্ত্রে যে খাদ্যশৃঙ্খল শক্তির প্রবাহকে ভিত্তি করে নৃতজীবী বিয়োজক স্তরের মধ্যেই আবদ্ধ অর্থাৎ এরুপ খাদ্যশৃঙ্খলে মৃত ও গলিত জীবদেহ থেকে ক্রমান্বয়ে জীবাণুর দিকে শক্তিপ্রবাহ দেখা যায়, তাদের মৃতজীবী খাদ্যশৃঙ্খল বলে। যেমন—মৃত উদ্ভিদ/পচা জৈব পদার্থ → ছত্রাক → ব্যাকটেরিয়া।


[B]খাদ্যগ্রহণের প্রকৃতির ভিত্তিতে :

1)চারণভূমি খাদ্যশৃঙ্খল [Grazing Food Chain] : যে প্রকার খাদ্যশৃঙ্খলে সবুজ উদ্ভিদ বা উৎপাদকশ্রেণি সৌরশক্তিকে রাসায়নিক শক্তির রূপান্তরের মাধ্যমে নিজ দেহে যে শক্তি সঞ্চয় করে তা ধাপে ধাপে তৃণভোজী ও মাংসাশী প্রাণিদেহে সঞ্চারিত হয়, তাদের চারণভূমির খাদ্যশৃঙ্খল বলে। যেমন - সবুজ উদ্ভিদ →হরিণ →বাঘ ।

2)কর্কর খাদ্যশৃঙ্খল [Detritus Food Chain] : যে খাদ্যশৃঙ্খলে পচা জৈববস্তু বা বিয়োজক স্তর থেকে শুরু করে হাল্ক স্তরে ধাপে ধাপে শক্তি স্থানান্তরিত হয়, তাদের কর্কশ খাদ্যশৃঙ্খল বলা হয়। যেমন - পচনশীল জৈববস্তু → ডেট্রিটাস কনজিউমার ছোটো মাংশাসী মাছ → বড় মাংশাসী মাছ ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ