Header Ads Widget

Responsive Advertisement

চ্যুতির প্রভাবে সৃষ্ট ভূমিরূপ সমূহ(Resultant Landforms of Faulting)


 চুতি গঠনের ফলে ভূপৃষ্ঠে নিম্ন লিখিত বিভিন্ন ভূনিরূপগুলি গড়ে ওঠে-


 1)চ্যুতিভৃগু ও চ্যুতিরেখা ভূগু(fault scarp and Fault-line Scarp): চুতি গঠনের ফলে ঊর্ধ্ব ও নিম্ন চ্যুতিখণ্ডের মধ্যে সৃষ্ট খাড়া ঢালকে চ্যুতিভূগু বলে। 

চ্যুতি সৃষ্টির ফলে কঠিন শিলাস্তর কোমল শিলাভরে পাশে অবস্থান করলে বৈষম্যমূলক ক্ষয়কাজের ফলে কোমল শিলাস্তর ক্ষয়প্রাপ্ত হয় এবং কঠিন শিলাস্তর চ্যুতিরেখা-ভৃগু গঠন করে । চ্যুতিরেখা ভৃগু ও চ্যুতিভৃগু প্রধানত দুই প্রকার-

a)পুনর্ভবা বা অনুগামী চ্যুতি রেখা ভৃগু(Resequent Fault Line Scarp):-প্রাথমিকভাবে চ্যুতিরেখার যেদিকে চুতিভৃগু গড়ে ওঠে সেই দিকেই যদি পরবর্তী সময়ে ক্ষয় কার্যের প্রভাবে চুাতিরেখা ভৃগু গঠিত হয়, তবে তাকে পুনর্ভবা বা অনুগামী চ্যুতিরেখা ভৃগু বলে।

b) বিপরা বা প্রতিগামী চ্যুতিরেখা ভৃগু (Obsequent foult Line Sarp) : প্রাথমিকভাবে গঠিত চ্যুতিভৃগুর বিপরীত দিকের কঠিন শিলাস্তর দ্বারা গঠিত আদি চ্যুতিভৃগু ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে গেলে যে চাুতিরেখা ভৃগু গঠন করে তাকে বিপরা বা প্রতিগামী চ্যুতিরেখা ভৃগু বলে।


2)স্তূপর্বত (Block Mountain): দুটি সমান্তরাল বা তির্যক চ্যুতির মধ্যবর্তী ভূভাগ চাপের প্রভাবে উত্থিত হলে যে উচ্চভূমি গড়ে ওঠে, তাকে স্তূপ পর্বত বলে। যেমন -ভারতের সাতপুরা।


3)গ্রস্ত উপত্যকা ও গ্রাবেন (Rift Valley and graben) : দুটি সমান্তরাল স্বাভাবিক চ্যুতির মধ্যবর্তী ভূমি ভাগ অবনমিত হয়ে গেলে ওই ভূমিভাগকে গ্রস্ত উপত্যকা বা গ্রাবেন বলে। যেমন -পূর্ব আফ্রিকার the great rift valley 


4) প্রস্রবণ( spring) : ভূ অভ্যন্তরস্থ জল ভুপষ্ঠে চ্যুতিতল বরাবর নির্গত হয়ে চ্যুতি গঠিত প্রস্রবণ গড়ে তোলে।


5)জলপ্রপাত (Walurtull) : চ্যুতির উপর দিয়ে প্রবাহিত নদী তীব্র গতিতে খাড়া ঢাল অনুসরণ করে নীচে ঝাঁপিয়ে পরে জলপ্রপাত গড়ে তোলে। যেমন ঝাড়খন্ডে জোনহা ও হুড্রু জলপ্রপাত।


5) সােপান (steps) : অসংখ্য স্বাভাবিক চ্যুতি শিলাস্তরের অবনমিত অংশে সিড়ির মতাে ধাপযুক্ত যে ভূমিরূপ গঠন করে তাকে সোপান বলে। যেমন—রাইন নদীর গ্রস্ত উপত্যকায় সৃষ্ট সােপান।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ