Header Ads Widget

Responsive Advertisement

চ্যুতির প্রকারভেদ (Types of Fault)

                    চ্যুতির প্রকারভেদ 


1)উৎপত্তি অনুসারে (genetic classification):

a)স্বাভাবিক বা অনুলোম চ্যুতি (Normal Fault) :

সংজ্ঞা : যে চু্তিতে বুলন্ত পার্শ্বদেশ অবনমিত এবং পাদ-পার্শ্বদেশ উথিত অবস্থায় থাকে, তাকে স্বাভাবিক বা অনুলােম চ্যুতি বলে।

বৈশিষ্ট্য :

• শিলান্তরে টানের মাত্রা অধিক হলে স্বাভাবিক চ্যুতি গড়ে ওঠে । 

• চ্যুতিতল তির্যক বা হেলানাে দুই প্রকারের হয় 

• ভূপৃষ্ঠস্থ ক্ষেত্রফলের মান বৃদ্ধি পায়। 

সংশ্লিষ্ট ভূমিকূপ : স্বাভাবিক চ্যুতিযুক্ত অঞ্চলে খাড়া চ্যুতিভৃগূ তট গড়ে ওঠে। 


b)বিপরীত বা বিলােম চ্যুতি (Reverse Faul) ঃ

সংজ্ঞা : যে চ্যুতিতে ঝুলন্ত পার্শ্বদেশ উপরে উথিত হয় এবং পাদ-পার্শ্বদেশ অবনমিত অবস্থায় থাকে, তাকে বিপরীত বা বিলোম চ্যুতি বলে ।

বৈশিষ্ট্য :

•প্রধানত সংকোচন বলের প্রভাবে বিপরীত চ্যুতি গঠিত হয় । 

•চ্যুতিতল তীর্যকভাবে অবস্থান করে। 

• ভূপৃষ্ঠস্থ ক্ষেত্রফলের মান বৃদ্ধি পায়।

 সংশ্লিষ্ট ভূমিরূপ : বিপরীত চুতিযুক্ত অঞ্চলে ঝুলন্ত ভৃগু গঠিত হয় ।

স্বাভাবিক চ্যুতি

2)স্খলন এর দিক অনুসারে (according to slip):

a) আয়াম স্খলন চ্যুতি(strike slip fault):

সংজ্ঞা :যে চ্যুতিতে চ্যুতিতলের আয়ামের সমান্তরালে শিলার স্খলন হয়, তাকে আয়াম স্খলন চ্যুতি বলে।

বৈশিষ্ট্য:

• উধ্বস্তূপ চ্যুতির আয়ামের সমান্তরালে এগিয়ে যায়।

•এই চ্যুতিতে উলম্ব ব্যবধান থাকে না।

আয়াম স্খলন চ্যুতি

b)নতি স্খলন চ্যুতি (dip slip fault):

সংজ্ঞা: যে চ্যুতিতে চ্যুতিতলের নতি বরাবর উপর দিকে অথবা নিচের দিকে শিলার স্খলন ঘটে, তাকে নতি স্খলন চ্যুতি বলে ।

বৈশিষ্ট্য :

•শুধুমাত্র চ্যুতির উলম্ব ব্যবধান পাওয়া যায়।

•চ্যুতির আয়াম বরাবর কোনো স্খলন ঘটে না।  

 

নতি স্খলন চ্যুতি

c)তির্যক স্খলন চ্যুতি(oblique slip fault):

সংজ্ঞা: যে চ্যুতিতলের নতি ও আয়াম বরাবর শিলার স্খলন ঘটে, তাকে নতি স্খলন চ্যুতি বলে।

বৈশিষ্ট্য :

•এই চ্যুতিতে শিলার উলম্ব ও অনুভূমিক উভয় প্রকার স্থানান্তর ঘটে ।

•চ্যুতিতল 0°-90° মধ্যে অবস্থান করে।

তির্যক স্খলন চ্যুতি


3)চ্যুতিতলের নতির ভিত্তিতে (according to dip):

a)ঊচ্চনতির চ্যুতি(High Angle Fault) : যে চ্যুতির ক্ষেত্রে চ্যুতিতলের নতির মান বেশি থাকে (প্রায় 45°-র বেশি), তাকে উচ্চ নতির চ্যুতি বলে।

উচ্চ নতির চ্যুতি

b) নিম্ন নতির চ্যুতি (Low Angle Fault) : যে চ্যুতির ক্ষেত্রে চুতিতলের নতির মান অপেক্ষাকৃত কম থাকে (প্রায় 49-র কম) তাকে নিম্ন নতির চ্যুতি বলে।

নিম্ন নতির চ্যুতি


4)চ্যুতির বিন্যাসের ভিত্তিতে (according to pattern):

a)সমান্তরাল চ্যুতি(parallel fault) : একই নতি ও আয়াম বিশিষ্ট একগুচ্ছ চ্যুতিকে সমান্তরাল চ্যুতি বলে।

সমান্তরাল চ্যুতি

b)সোপান চ্যুতি( step fault): অনেকগুলি অনুলোম চ্যুতি একত্রে অবস্থান করলে চুতিতল সিরির ন্যায় ধাপে ধাপে ক্রমশ নেমে গেছে মনে হয়, এরূপ চ্যুতিকে সোপান চ্যুতি বলে।

সোপান চ্যুতি

c)পরিখা চ্যুতি (trench fault) :সোপান চ্যুতি শ্রেণীবদ্ধ ভাবে দুদিক থেকে এসে মিলিত হয়ে সরু পরিখার মতো সৃষ্টি করে, তাকে পরিখা চুতি বলে।

d)অরীয় বা কেন্দ্রীয়বিমুখ চ্যুতি (Radial Fault) : একটি কেন্দ্রীয় স্থান বা বিন্দু থেকে অসংখ্য চ্যুতি বাইরের দিকে বিন্যস্ত হলে তাকে কেন্দ্রবিমুখ চ্যুতি ।


5) অক্ষতলের কোনের ভিত্তিতে( based on axial plane) : 

a)অনুদৈর্ঘ্য চ্যুতি (Longitudinal Fault) : আঞ্চলিক গঠনের সঙ্গে সমান্তরালে যে চ্যুতি গড়ে ওঠে তাকে অনুদৈর্ঘ্য চ্যুতি ।

b)প্রস্থ চ্যুতি (Transverse Fault) : আঞ্চলিক গঠনের সঙ্গে উল্লম্ব বা তি্যকভাবে অবস্থান করলে তাকে প্রস্থ চুতি বলে ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ