Header Ads Widget

Responsive Advertisement

ইন-সিটু সংরক্ষণ (In-situ Conservation) বলতে কী বোঝ?


ইন-সিটু সংরক্ষণ


ইন-সিটু সংরক্ষণ (In-situ Conservation) : প্রাকৃতিক বাসস্থানে অর্থাৎ‍ নিজস্ব পরিবেশে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণকে ইন সিটু সংরক্ষণ বলে। জাতীয় উদ্যান, অভয়ারণ্য, সংরক্ষিত বন, বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ-এর মাধ্যমে ইন-সিটু সংরক্ষণ করা হয়।

(a) জাতীয় উদ্যান (National Park) : প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় যেসব স্থানে সমস্তরকম গাছপালা ও বন্য জীবজন্তুরা নিজস্ব পরিবেশে জাতীয় সংবিধান প্রণীত আইন অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকারের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে সংরক্ষিত হয়, তাদের জাতীয় উদ্যান বা ন্যাশনাল পার্ক বলে।

বৈশিষ্ট্য : (i) এটি ভারত সরকারের আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। (ii) শিকার সম্পূর্ণ নিষেধ, আগ্নেয়াস্ত্রসহ শিকারির প্রবেশ নিষেধ, তবে পর্যটক ভিতরে যেতে পারে।

উদাহরণ : পশ্চিমবঙ্গের গোরুমারা জাতীয় উদ্যান, জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান (2012), উত্তরাখণ্ডের করবেট, মধ্যপ্রদেশের কানহা এবং শিবপুরি।


(b) অভয়ারণ্য (Sanctuary) : যে সংরক্ষিত অঞ্চলে গাছপালার সঙ্গে বিশেষ কোনো বন্য প্রজাতির রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা আছে, তাকে অভয়ারণ্য বলে।

বৈশিষ্ট্য : (i) বন্যপ্রাণী, যারা অবলুপ্তির পথে, তারা এখানে নির্ভয়ে ঘোরাফেরা করতে পারে ও প্রজননে লিপ্ত হতে পারে। (ii) রাজ্য সরকারের নির্দেশে শিকার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। 

উদাহরণ : পশ্চিমবঙ্গের বেথুয়াডহরি, কর্ণাটকের বন্দিপুর।


(c) সংরক্ষিত বনাঞ্চল (Reserve Forest) : রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন যে অরণ্যে সাধারণের প্রবেশ নিষেধ, কিন্তু গবেষণার অনুমতি সাপেক্ষে প্রবেশ করা যায়, তাকে সংরক্ষিত বনাঞ্চল বলে।

বৈশিষ্ট্য : (i) কেন্দ্রীয় সরকারের বনদপ্তর আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। Indian Forest Act অনুযায়ী প্রাণী শিকার ও গাছ কাটা নিষিদ্ধ। (ii) সমগ্র এলাকায় বনরক্ষী দিবারাত্র প্রহরারত থাকে।

উদাহরণ : পশ্চিমবঙ্গের বৈকুণ্ঠপুর, অসমের কাজিরাঙা, গুজরাটের গির।


d) বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ (Biosphere Reserve) : UNESCO-র Man and Biosphere Reserve কর্মসূচির অন্তর্গত যে স্থলজ ও জলজ অঞ্চলে গোটা বাস্তুতন্ত্র ও তার সম্পূর্ণ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষিত হয়,তাকে বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ বলে।

বৈশিষ্ট্য : (i) এই অঞ্চলের জীবকূল স্বাভাবিকবা প্রাকৃতিক পরিবেশেই বৃদ্ধি পাবে এবং প্রজনন করবে। মানুষের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা থাকবে না। (ii) প্রজাতির সংরক্ষণ ও সংখ্যাবৃদ্ধির জন্য গবেষণার সুযোগ থাকবে।

উদাহরণ : পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন, অসমের মানস, ওড়িশার সিমলিপাল।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ