আগ্নেয়গিরি( volcano): ভু অভ্যন্তরস্থ উত্তপ্ত তরল ম্যাগমা কেন্দ্রীয় অগ্ন্যুৎপাতের ফলে ভূত্বকের কোনাে ফাটল বা দুর্বল স্থান দিয়ে বাইরে নির্গত হয় এবং নির্গমণ পথের উপরিভাগের চারদিকে সঞ্চিত হতে থাকে। ক্রমাগত অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সঞ্চিত লাভা শঙ্কু আকৃতির যে পর্বত গঠন করে তাকে আগ্নেয় গিরি বা সঞ্চয়জাত পর্বত বা আগ্নেয় শঙ্কু বলে।
উদাহরণ: ইতালির ভিসুভিয়াস ,জাপানের ফুজিয়ামা।
আগ্নেয়গিরির প্রকারভেদ(Types of volcano):
1)জীবন্ত বা সক্রিয় আগ্নেয়গিরি (Active Volcano) : যে আগ্নেয়গিরিগুলিতে বর্তমানেও অগ্নুৎপাত হচ্ছে এবং উৎপত্তির পর থেকে বারংবার যে আগ্নেয়গিরিগুলি থেকে অগ্ন্যুৎপাত ঘটে, তাকে জীবন্ত বা সক্রিয় আগ্নেয়গিরি বলে।
জীবন্ত আগ্নেয়গিরি কে আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায় যথা-
- সবিরাম আগ্নেয়গিরি (Intermittent Volcano) : যেসব সক্রিয় আগ্নেয়গিরি থেকে কিছুদিনের ব্যবধানে অগ্ন্যুৎপাত হয়ে থাকে, তাকে সবিরাম আগ্নেয়গিরি বলে। যেমন - ইতালির স্টম্বােলি , ভারতের ব্যারেন ও নারকোনডাম, সিসিলি দ্বীপের এটনা, ইকুয়েডরের কটোপ্যাক্সি।
- অবিরাম আগ্নেয়গিরি (Incessant Volcano) : যেসব সক্রিয় আগ্নেয়গিরি থেকে ক্রমাগত অগ্ন্যুৎপাত হয়ে চলেছে তাকে অবিরাম আগ্নেয়গিরি বলে। যেমন-ইতালির ভিসুভিয়াস, হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের মৌনালােয়া।
2)সুপ্ত আগ্নেয়গিরি (Dormant Volcano) :
যেসব আগ্নেয়গিরি থেকে বর্তমানে অগ্নৎপাত না হলেও ভবিষ্যতে অগ্ন্যুৎপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, তাদের সুপ্ত আগ্নেয়গিরি বলে
উদাহরণ: জাপানের মাউন্ট ফুজি , ইন্দোনেশিয়ারকাকাতােয়া, আফ্রিকার কিলিমাঞ্জারাে প্রভৃতি।
3)মৃত আগ্নেয়গিরি (Extinct Volcano): যেসব আগ্নেয়গিরি থেকে সুদীর্ঘ সময়ব্যাপী অগ্ন্যুৎপাত বন্ধ হয়ে গেছে এবং ভবিষ্যতেও অগ্ন্যুৎপাতের কোনাে সম্ভাবনা নেই, তাকে মৃত আগ্নেয়গিরি বলে।
উদাহরণ: মায়ানমারের পােপাে , ইকুয়েডরের চিম্বোরাজো প্রভৃতি।
0 মন্তব্যসমূহ